Buy Royal UI Officially! Contact Us Buy Now!

ফ্রিল্যান্সিং কি? ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গাইডলাইন!





বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিং এ বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে। আমাদের দেশের লক্ষ লক্ষ তরুন ও যুবক এখন ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার হিসেবে গ্রহন করে অনলাইন থেকে টাকা আয় করে ফরেন রেমিটেন্স নিয়ে আসছে। বিশেষ করে আমাদের দেশে সরকারি ও বেসরকারি চাকরি পর্যাপ্ত না থাকার কারনে এখন শিক্ষিত যুবক ছেলে মেয়েরা ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারকে আনন্দের সহিত বেছে নিচ্ছে।

আমরা অধিকাংশ লোক জানি যে, ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে একটা স্বাধীন জব বা স্বাধীন পেশা। আমাদের দেশে ফ্রিল্যান্সিং একটি মুক্ত পেশা হিসেবে বেশ পরিচিত। সেই জন্য অনেকে মনেকরে কারো অধিনে চাকরি না করে ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে টাকা আয় করা গেলে, কেন শুধু শুধু অন্যের আন্ডারে চাকরি করব? আসলে বাস্তব ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং একটি মুক্ত পেশা কি না, সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারনা নেওয়ার জন্য আজকের পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে।

ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে অনেক ধরনের ভুল ধারনা রয়েছে। অনেকে আবার সেই ভুল ধারনাকে পুজি করে সাধারণ মানুষকে ফ্রিল্যান্সিং শেখানোর অজুহাতে বিভিন্ন কোচিং সেন্টার খোলে নাম মাত্র ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে জ্ঞান দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

আপনি হয়ত ইতোপূর্বে ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে অনেক কিছু শুনেছেন। হয়তবা কখনো কৌতুহলের বশে গুগল থেকে ফ্রিল্যান্সিং কি সেটা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চান, তাহলে আজকের পোস্ট পড়লে এ বিষয়ে আপনার সকল ধারনা পরিষ্কার হয়ে যাবে।

আমরা আজকের পোস্টে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে নিচের টপিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব-
  1. ফ্রিল্যান্সিং কি?
  2. Freelancer কি?
  3. ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধা কি?
  4. ফ্রিল্যান্সিং এর অসুবিধা কি কি?
  5. ফ্রিল্যান্সিং করে কত টাকা আয় করা যায়?
  6. ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার কিভাবে গড়বো?
  7. ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব?
  8. ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করব?
  9. ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে কাজ কিভাবে পাবো?
  10. কিভাবে পারিশ্রমিক বুঝে পাবো?
ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য বা ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়ার পূর্বে আপনাকে অবশ্যই উপরের সবগুলো বিষয়ে পরিষ্কার ধারনা রাখতে হবে। তা না হলে যে কোন অসাধু কোচিং সেন্টারের দ্বারা আপনার পরিশ্রমের টাকা নষ্ট হতে পারে। তাহলে দেরি না করে উপরের সবগুলো পয়েন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

ফ্রিল্যান্সিং কি?

ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্লায়েন্টের সাথে কাজের চুক্তি করে সেই কাজ শেষ করে অনলাইনের মাধ্যমে ক্লায়েন্টের কাছে পৌছানোর মাধ্যমে আয় করাকে সংক্ষেপে ফ্রিল্যান্সিং বলা হয়। আপনি হয়ত ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টা এখনো পরিষ্কার হতে পারছেন না। আমি এ বিষয়কে আরো সহজভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছি।

সাধারণত একজন ব্যক্তি লেখাপড়া শেষ করার পর কোন কোম্পানিতে চাকরি পাওয়ার জন্য তার সিভি সাবমিট করে। সিভি দেখার পর এবং ইন্টারভিউ শেষে কোম্পানি তাকে যোগ্য মনে করলে চাকরিতে নিয়োগ করে। তখন সেই ব্যক্তি কোম্পানিতে সকাল ৯ ঘটিকা থেকে বিকাল ৫ ঘটিকা পর্যন্ত নিয়মিত রুটিন কাজকর্ম করার মাধ্যমে মাসিক হারে একটি নির্দিষ্ট বেতন পায়।

ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য ঠিক একইভাবে একজন ব্যক্তির যে বিষয়ে অভীজ্ঞতা রয়েছে বা যে বিষয়ে সে ভালোভাবে কাজ করতে পারে, সে বিষয়ে কাজ পাওয়ার জন্য বিভিন্ন অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেসগুলোতে কাজের জন্য আবেদন করে। তখন ক্লায়েন্ট তার কাজের যোগ্যতা যাচাই করে উপযুক্ত মনে করলে, তাকে কাজটি করে দেওয়ার জন্য নিয়োগ করে। এ জন্য ফ্রিল্যান্সিংকে এক ধরনের জব (চাকরি) বলা হয়ে থাকে।

তবে একটি নরমাল চাকরি আর ফ্রিল্যান্সিং জব এর মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। নরমাল যে কোন চাকরিতে প্রতিদিন নির্ধারিত সময়ে কাজ করতে হয়। তা না হলে আপনার চাকরি ধরে রাখতে পারবেন না। সেই সাথে কাজ ঠিকমত করতে না পারলে মাঝে মধ্যে বসের বকুনি খেতে হয়।

কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার এর ক্ষেত্রে সে ধরনের কোন ধরা বাধা নিয়ম নেই। এখানে আপনি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন। আপনার যখন মন চাইবে তখন কাজ করতে পারেন, আবার মন না চাইলে কাজ থেকে বিরত থাকতে পারেন। এই জন্য মূলত ফ্রিল্যান্সিংকে মুক্ত পেশা বলা হয় এবং ফ্রিল্যান্সিং করতে বেশিভাগ লোক পছন্দ করে।

তবে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে সফল হতে হলে আপনি খুব বেশি মুক্তভাবে কাজ করতে পারবেন না। কারণ আপনি স্বাধীনভাবে বা যখন খুশি তখন কাজ করার মনোভাব নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এ কাজ করলে আপনি কখনো একজন ভালোমানের ফ্রিল্যান্সার হতে পারবেন না। আপনি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে যত বেশি সময় ব্যয় করবেন এবং ক্লায়েন্টদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবেন, আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে তত বেশি আয় করতে পারবেন। সেই সাথে স্বাধীনভাবে কাজ না করে একটি সাধারণ চাকরির মত টাইম মেনটেইন করে কাজ করলে ক্লায়েন্ট আপনাকে দিয়ে কাজ করাতে বেশি স্বাচ্ছন্দবোধ করবে। 

ফ্রিল্যান্সাররা কিভাবে কাজ করে?

ফ্রিল্যান্সাররা কিভাবে কাজ করে বা ফ্রিল্যান্সাররা কিভাবে কাজ পায়, এই বিষয়টি বুঝতে পারলে ফ্রিল্যান্সিং কি সেটা আপনার কাছে একদম ক্লিয়ার হয়ে যাবে। নিচের চিত্রটি দেখুন-
ফ্রিল্যান্সিং কি?
ধরুন, আপনি একজন ফ্রিল্যান্সার এবং আমার একটি গার্মেন্টস এর কোম্পানি আছে। আমার কোম্পানিটি নতুন হওয়ার কারনে অধিকাংশ লোক আমার কোম্পানি সম্পর্কে কিছু জানে না। কাজেই আমি চাইছি আমার গার্মেন্টস এর নামে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করব, যাতে সেই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে মানুষ আমার কোম্পানি সম্পর্কে জানতে পারে।

এ ক্ষেত্রে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য অনেক ধরনের উপকরণ প্রয়োজন হবে। প্রথমত গার্মেন্টস এর নামে অবশ্যই একটি লোগো তৈরি করে নিতে হবে। তারপর লোগো সহ কোম্পানির নামে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। সেই সাথে ওয়েবসাইটটি যাতে মানুষ গুগলে সার্চ করে দেখতে পায়, সেই জন্য ওয়েবসাইটের এসইও করতে হবে। তাহলে আমার কোম্পানির ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য একজন লোগো ডিজাইনার, একজন ওয়েব ডিজাইনার ও একজন এসইও এক্সপার্ট এর প্রয়োজন হবে।

এখন আমার কোম্পানির ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে প্রথমে একজন ভালোমানের লোগো ডিজাইনার খুজব। একজন লোগো ডিজাইনার খোজার জন্য আমি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে আমার লোগো ডিজাইনের বর্ণনা দিয়ে একটি পোস্ট করব। তারপর পোস্ট দেখে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সার কাজটি করে দেওয়ার জন্য এপ্লাই করবে। যারা এপ্লাই করবে তাদের প্রোফাইল দেখে যাকে আমার কাছে ভালোমানের লোগো ডিজাইনার মনেহবে তার সাথে যোগাযোগ করব। 

তারপর সেই লোগো ডিজাইনার কত ডলার হলে কাজ করবে, কিভাবে কাজ করবে, কাজ করার জন্য কত সময় নেবে ইত্যাদি বিষয় আলোচনার পর তাকে আমি কাজটি দেব। এরপর সেই কাজটি ঠিকমত করে দেওয়ার পর যখন আমার কাছে সাবমিট করবে, তখন আমি তাকে টাকা পরিশোধ করব।

তাছাড়া আপনি যখন বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেপ্লেসে নিয়মিত কাজ করবেন, তখন আপনি অটোমেটিক বিভিন্ন ব্যক্তি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাথে পরিচিত হয়ে উঠার কারনে বিভিন্ন ক্লায়েন্ট তার কাজ করানোর জন্য সরাসরি আপনার প্রোফাইলের মাধ্যমে আপনার সাথে যোগাযোগ করবে। আপনি যখন এই লেভেলের ফ্রিল্যান্সার হতে পারবেন, তখন ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে লাখ টাকা আয় করা আপনার জন্য কোন ব্যাপার হবে না। মূলত এভাবে একজন ফ্রিল্যান্সার অনলাইনে কাজ করে ঘরে বসে টাকা আয় করে।

সহজ ভাষায় Freelancing কি?

উপরের আলোচনা ও বিশ্লেষণ থেকে এভাবে বলা যায় যে, নিজের মেধা ও অভীজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে অনলাইনে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তির মাধ্যমে অনলাইনে কাজ করে টাকা আয় করাকে ফ্রিল্যান্সিং বলা হয়।

তাছাড়া উপরের আলোচনা থেকে এটাও বুঝা গেল যে, ফ্রিল্যান্সিং যদিও একটি মুক্ত পেশা কিন্তু ফ্রিল্যান্সিংয়ে নিজের অবস্থান ভালো করার জন্য এবং বেশি পরিমানে টাকা আয় করার জন্য মুক্তভাবে কাজ করার কোন সুযোগ নেই। একজন ফ্রিল্যান্সার বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে যত বেশি সময় ও শ্রম দিতে পারবে, সেই ফ্রিল্যান্সার ফ্রিল্যান্সিং করে তত বেশি টাকা আয় করে নিতে পারবে। আর যারা ফ্রিল্যান্সিংকে মুক্ত পেশা হিসেবে ধরে নিয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করবে, তারা ফ্রিল্যান্সিংয়ে কখনো সফলতা অর্জন করতে পারবে না।

ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধা কি?

  • ফ্রিল্যান্সিং এর সবচাইতে বড় সুবিধা হচ্ছে এখানে স্বাধীনতা রয়েছে। কাজের জন্য কোন দায়বদ্ধতা থাকে না এবং বসের বকাঝকা খাওয়ার কোন সুযোগ নেই।
  • একটি নরমাল জবের চাইতে অনেক বেশি টাকা আয় করা সম্ভব হয়।
  • কাজের কোনো লিমিট নেই। যত বেশি কাজ তত বেশি টাকা।
  • মাসে একাধিক পেমেন্ট পাওয়া যায়। যেটা কোন অফলাইন চাকরি থেকে পাওয়া সম্ভব নয়।
  • কম সময় ব্যয় করে বেশি টাকা আয় করা সম্ভব হয়।
  • ঘরে বসে কাজ করা যায়। কোন অফিস এর প্রয়োজন হয় না। 
  • কোন ধরনের ইনভেসমেন্ট করা লাগে না।

ফ্রিল্যান্সিং এর অসুবিধা কি কি?

প্রত্যেকটি জিনিসের বা কাজের যেমন খারাপ দিক থাকে, ঠিক তেমনটি ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রেও কিছু অসুবিধা রয়েছে। কাজেই ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে প্রবেশ করার আগে ফ্রিল্যান্সিং এর অসুবিধাগুলো জেনে নেওয়া ভালো। কারণ না জেনে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে প্রবেশ করার পর সফল হতে না পারলে, আপনি আর্থিক অভাব অনটনে পড়তে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং এর যে সমস্ত অসুবিধা রয়েছে-
  • কাজের কোন নিরাপত্তা বা গ্যারান্টি নেই। কোনো কোনো সময় এমন হবে, আপনি সারা মাসেও একটি কাজ পাবেন না।
  • অধিকাংশ মানুষ ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টা বুঝে না বিধায় ফ্রিল্যান্সিংকে সম্মানজনক জব হিসেবে মনে করে না।
  • নিজের কাজ নিজেই করতে হয়। অন্যকে দিয়ে করানোর সুযোগ থাকে না।
  • আমাদের দেশে পেমেন্ট এর কিছু অসুবিধা আছে।
  • ক্লায়েন্টদের সাথে সরাসরি যোগাযোগের কোন সুযোগ থাকে না।

ফ্রিল্যান্সিং করে কত টাকা আয় করা যায়?

ফ্রিল্যান্সিং করে কত টাকা আয় করতে পারবেন সেটা আপনার কাজের দক্ষতা (Skill) এর উপর ডিপেন্ড করবে। আপনার কাজের কোয়ালিটি যত ভালো হবে, আপনি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে তত বেশি কাজ পাবেন এবং যত বেশি কাজ পাবেন তত বেশি টাকা আয় করতে পারবেন। এখানে আপনার দক্ষতা দিয়ে যোগ্যতা প্রমান করে কাজের মাধ্যমে ডলার আয় করার পরিমান বৃদ্ধি করে নিতে হবে।

সাধারণত ফ্রিল্যান্সাররা ঘন্টা, দিন ও সপ্তাহ হিসেবে কন্ট্রাকের মাধ্যমে টাকা আয় করে। এ ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে যার অবস্থান যত ভালো, সে তত বেশি কাজ পায় এবং বেশি টাকা আয় করতে পারে।
ফ্রিল্যান্সিং করে কত টাকা আয় করা যায়?
উপরের চিত্রটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস আপওয়ার্ক হতে নেওয়া। আপওয়ার্কের সবচাইতে জনপ্রিয় বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সার হচ্ছেন জনাব আমানুর রহমান। তিনি ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করেন। উপরের চিত্রে দেখুন, তিনি ইতোপূর্বে আপওয়ার্ক ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট থেকে প্রায় ২০২ টি কাজ করেছেন। তিনি বর্তমানে প্রতি ঘন্টায় কাজের জন্য ৫০ ডলার করে নিয়ে থাকেন। এ ক্ষেত্রে তিনি যদি ৫ ঘন্টার কোন কাজ করেন, তাহলে তিনি ৫ ঘন্টার জন্য ২৫০ ডলার (বাংলাদেশি ২০ হাজার টাকা) পাবেন।

তাছাড়াও উপরের চিত্রে আরো দুই জন্য বাংলাদেশি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সারের ছবি দেখতে পাচ্ছেন। তারাও তাদের কাজের জন্য প্রতি ঘন্টায় ৫০ ডলার করে নিয়ে থাকেন। আপনি প্রতি ঘন্টায় কত টাকা নিবেন বা কোন্ কাজের জন্য কত টাকা পাবেন, সেটা আপনার জনপ্রিয়তা ও কাজের কোয়ালিটির উপর নির্ভর করবে। মোট কথা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে আপনার যোগ্যতার যত প্রমান দিতে পারবেন, আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে তত বেশি টাকা আয় করতে পারবেন।

আমাদের দেশে অনেক ভালো ভালো ফ্রিল্যান্সার রয়েছে যারা প্রতি মাসে ৩ থেকে ৫ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে। তাছাড়া আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে অনেক ভালো ভালো ফ্রিল্যান্সার আছে, যারা প্রতি মাসে ৪/৫ লক্ষ টাকা আয় করে।

ফ্রিল্যান্সিং এ বাংলাদেশের অবস্থান কত?

ফ্রিল্যান্সিংয়ে ভারতের পরেই রয়েছে বাংলাদেশের অবস্থান। বিশ্বব্যাপী ফ্রিল্যান্সিং জনসংখ্যার প্রায় ২৭ শতাংশ কর্মী বাস করে বাংলাদেশে। বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং সাপোর্ট, ক্রিয়েটিভ অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভিডিও এ্যাডিটিং এবং প্রযুক্তি দিকগুলোয় কাজের আগ্রহ বেশি দেখা গেছে। বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সারদের গড় পারিশ্রমিক মাসিক ৬০ মার্কিন ডলার বা ৫ হাজার টাকার মতো। তবে ফ্রিল্যান্সিংয়ে বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি উপার্জনের পথ খোলা রয়েছে।
ফ্রিল্যান্সিং এ বাংলাদেশের অবস্থান কত?
উপরের চিত্রে দেখুন, ২০১৯ সালের রিপোর্ট অনুসারে ফ্রিল্যান্সিংয়ে বাংলাদেশ ৮ম পজিশনে রয়েছে। আমাদের প্রতিবেশি দেশ ভারত বাংলাদেশের তুলনায় মাত্র ২% এগিয়ে আছে। সারা বিশ্বে যত ফ্রিল্যান্সার রয়েছে, তার প্রায় ২৭% ফ্রিল্যান্সার আমাদের দেশে রয়েছে। তাছাড়া আমাদের প্রতিবেশি আরেকটি দেশ পাকিস্তান ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে ৪র্থ অবস্থানে েআছে। আমার বিশ্বাস ২০২০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে পাকিস্তানের কাছাকাছি চলে আসবে।

ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করব?

আপনি ইতোপূর্বে জেনে গেছেন যে, ফ্রিল্যান্সিং করে ঘরে বসে অনলাইন হতে টাকা আয় করা যায়। সুতরাং অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করার জন্য আপনার একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ও ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে। 

তারপর ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি প্রয়োজন হবে সেটি হচ্ছে, আপনার কোন একটি বিষয়ে কাজ করার দক্ষতা (Skill) থাকতে হবে। এখন আপনি নিজেকে প্রশ্ন করুন, আপনি কোন কাজটি ভালোভাবে পারেন, যেটি কেউ আপনাকে করে দিতে বললে আপনি খুব সহজে করে দিতে পারবেন। যে কোন কাজে আপনার অভীজ্ঞতা, দক্ষতা ও কাজ করার ইচ্ছা থাকলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে স্মার্ট এমাউন্ট ইনকাম করতে পারবেন। কোন বিষয়ে দক্ষতা না থাকলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন না।

আপনার যদি কোন বিষয়ে অভীজ্ঞতা না থাকে, তাহলে আপনাকে প্রথমে কোন একটি কাজ ভালোভাবে শিখে নিতে হবে। কাজ শেখার ক্ষেত্রে আমি বলব, যে বিষয়ে কাজ করার জন্য আপনার আগ্রহ আছে এবং যে কাজ আপনি সহজে শিখতে পারবেন বলে মনে করেন, আপনি অবশ্যই সেই কাজ শিখে নিবেন। এ ক্ষেত্রে কাজ শেখার জন্য ৬ মাস থেকে ১ বছর ব্যয় করুন। 

আপনি হয়ত ভাবছেন ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য ১ বছর সময় ব্যয় করা আপনার জন্য সম্ভব নয়। তাহলে আমি আপনাকে সরাসারি বলব, ভাইয়া ফ্রিল্যান্সিং আপনার জন্য নয়। আপনি ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে চিন্তা না করে অন্য কোন কাজ করার চেষ্টা করুন। বেচে থাকার জন্য ফ্রিল্যান্সিং করতে হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই। আপনি যদি মনে করেন, কাজ না জেনেই আজকে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করে কাল থেকে আয় করা শুরু করবেন, তাহলে ফ্রিল্যান্সিং থেকে আয় করা আপনার জন্য শুধু স্বপ্ন হয়ে থাকবে। 

সাধারণ সেন্সে চিন্তা করুন, আমাদের দেশের একজন লোক চাকরি পাওয়ার আশায় ক্লাশ ওয়ান থেকে শুরু করে অনার্স/মাস্টার্স করার জন্য ১৮ থেকে ২০ বছর লেখাপড়া করে। দীর্ঘ ২০ বছর লেখাপড়া শেষে ২০/৩০ হাজার টাকা বেতনের একটি চাকরি পাওয়ার জন্য লক্ষ লক্ষ লোকের সাথে চাকরি বাজারে কম্পিটিশন করে। তারপর সেই কঠিন কম্পিটিশনে টিকতে পারলে প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত কাজ করে মাসে ২০/৩০ হাজার টাকা বেতন পায়। 

একজন ব্যক্তি ২০/৩০ হাজার টাকার চাকরি করার জন্য ২০ বছর পরিশ্রম করতে পারলে ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা আয় করার জন্য কেন আপনি মিনিমাম ১ বছর ব্যয় করবেন না? কাজেই আমি আগেও বলেছি, এ ধরনের সামান্য ধৈর্য্য আপনার না থাকলে ফ্রিল্যান্সিং আপনার জন্য নয়।

কাদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং?

  • মিনিমাম একটি কাজে যাদের অভীজ্ঞতা আছে।
  • যাদের কাজ শেখার প্রচুর আগ্রহ রয়েছে।
  • যাদের নগদ আয়ের লোভ নেই (আজকে এসে কালকে আয় করা পার্টি)।
  • যাদের টাকার প্রতি অতিরিক্ত লোভ নেই।
  • যাদের ইংরেজী দক্ষতা ভালো।
  • আর্ন্তজার্তিক পর্যায়ে যারা কমিউনেকশন করতে জানে।
আমার মনেহয় ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করবেন, সেটা উপরের আলোচনা থেকে আপনি পরিষ্কার হয়েগেছেন। আপনি একটি বিষয় পরিষ্কারভাবে জেনে রাখুন, ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইন হতে টাকা আয় করার জন্য কোন ধরনের সহজ বা শর্টকাট রাস্তা নেই। ফ্রিল্যান্সিং করে কাজের বিনিময়ে টাকা আয় করতে হয়। কাজেই ফ্রিল্যান্সিং করে কাড়ি কাড়ি ডলার আয় করতে চাইলে প্রথমে আপনাকে কোন একটি বিষয় দক্ষতা সম্পন্ন হতে হবে। আপনার দক্ষতা ফ্রিল্যান্সিং থেকে টাকা আয় করার পথ তৈরি করে দেবে।

ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার কিভাবে গড়বো?

নতুনরা হয়ত ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শব্দটা শুনে কিছুটা অবাক হচ্ছেন। এখানে অবাক হওয়ার কিছুই নেই। বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ এখন বিভিন্ন চাকরিতে জয়েন না করে ফ্রিল্যান্সিংকে ক্যারিয়ার হিসেবে নিয়ে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে। আমাদের দেশেও কয়েক লক্ষ ফ্রিল্যান্সার রয়েছে যারা ফ্রিল্যান্সিংকে ক্যারিয়ার হিসেবে গ্রহন করে মাসে লাখ টাকার বেশি আয় করছে। ফ্রিল্যান্সিং করে কি পরিমান আয় করা যায় এবং ফ্রিল্যান্সিংয়ে বাংলাদেশ কি অবস্থানে রয়েছে, এগুলো নিয়ে অলরেডি আলোচনা করেছি।

ফ্রিল্যান্সিংকে ক্যারিয়ার হিসেবে গড়ার জন্য নিচের কয়েক বিষয় ঠিক করে নিতে হবে-

১। নিজের লক্ষ্য ঠিক করে নিতে হবে

প্রথমে আপনাকে ঠিক করে নিতে হবে আপনি ফ্রিল্যান্সিং পেশা হিসেবে নিয়ে ফুল টাইম কাজ করবেন নাকি চাকরি বা অন্যান্য পেশার পাশাপাশি পার্ট টাইম ফ্রিল্যান্সিং করবেন। আপনি একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে চাইলে ফ্রিল্যান্সিংকে ফুল টাইম জব হিসেবে বেছে নিতে হবে। পক্ষান্তরে চাকরির পাশাপাশি আপনার মেধাকে কাজে লাগিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে বাড়তি টাকা আয় করতে চাইলে, কাজ করার জন্য আপনাকে নির্ধারিত কিছু সময় বের করে নিতে হবে। টাইম মেনটেন না করে যখন খুশি তখন ফ্রিল্যান্সিং করার চেষ্টা করলে ফ্রিল্যান্সিং করে খুব একটা সফলতা পাওয়ার আশা করতে পারবেন না।

২। কোন বিষয় নিয়ে কাজ করবেন?

কোন্ বিষয়ে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন বা কোন বিষয়ে আপনার অভীজ্ঞতা ও দক্ষতা আছে, আপনাকে প্রথমে সেটা ঠিক করে নিতে হবে। আপনি যদি কোন বিষয়ে অভীজ্ঞ নাও হয়ে থাকেন, তাহলে কোন্ বিষয়টি শিখবেন ও কোন্ বিষয়ে শেখার আগ্রহ আছে, সেটা আপনাকে নিজে নিজে ঠিক করে নিতে হবে। কাজের বিষয় ঠিক করার ক্ষেত্রে আপনি নিজেকে প্রশ্ন করুন, আপনি কোন কাজ করতে পছন্দ করেন বা আগ্রহ পান, তাহলে নিজে নিজে উত্তর পেয়ে যাবেন।

তবে যেন তেন কাজ নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করলে খুব একটা লাভবান হতে পারবেন না। নিচের বিষয়গুলো বিবেচনা করে আপনার কাজের বিষয় চয়েস করে নিতে পারেন।
  • এমন টপিক (নিশ) নিয়ে কাজ করতে হবে যে বিষয়ে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে কাজের চাহিদা রয়েছে। কারণ কাজের চাহিদা নেই এমন কোন টপিক নিয়ে কাজ করলে, ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস হতে কাজ খুজে পাবেন না।
  • যে কাজে আপনার দক্ষতা ও অভীজ্ঞতা আছে, সেই বিষয়ে কাজ করবেন।
  • যে বিষয় নিয়ে আপনি রিসার্চ করতে পছন্দ করেন বা যে বিষয়ে নতুন নতুন জিনিস শিখতে ভালোবাসেন, সেই টপিক নিয়ে কাজ করবেন।
  • যে বিষয়ে কাজ করতে আপনার কখনো বিরক্ত আসে না, সেই বিষয়ে কাজ করবেন।
উপরের চারটি বিষয় বিবেচনা করে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনার কাজের বিষয় (নিশ) নির্ধারণ করে নিতে হবে। বিশেষকরে টপিক নির্ধারণ করার পূর্বে যে টপিক নিয়ে কাজ করবেন সেই টপিক (নিশ) এর চাহিদা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে আছে কি না সেটাই যাচাই করে টপিক নির্ধারণ করবেন। কোন কোন টপিক নিয়ে কাজ করলে ফ্রিল্যান্সিং করে বেশি টাকা আয় করা যাবে, সেটি পোস্টের শেষাংশে আলোচনা করব।

৩। কোন কোন ফ্রিল্যান্সিং সাইটে কাজ করবেন?

অনলাইনে হাজার হাজার ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেখানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান (ক্লায়েন্ট) তাদের কাজ করানোর জন্য ফ্রিল্যান্সারদের খুজে থাকে। আপনাকে অবশ্যই সে ধরনের জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে হবে। কারন জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেসে বেশি ক্লায়েন্ট থাকে বিধায় অধিক পরিমানে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

আপনি যেকোন জনপ্রিয় একটি বা দুটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে দক্ষতা ও বিশ্বস্ততার সাথে কাজ করতে পারলে খুব অল্পদিনে সেই মার্কেটপ্লেসে নিজের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করে নিতে পারবেন। আর একবার জনপ্রিয় সাইটগুলোতে নিজেকে প্রমান করতে পারলে ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফলতা পাওয়ার ক্ষেত্রে কেউ আপনাকে ঠেকাতে পারবে না।

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে কাজের ক্ষেত্রে বিশ্বস্ততা ও কাজের কোয়ালিটি মেনটেন করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কোন কাজ ভালোভাবে করে সেটি বিশ্বস্তার সহিত ক্লায়েন্টকে সাপ্লাই দিলে এবং আপনার কাজ ক্লায়েন্টের পছন্দ হলে, ক্লায়েন্টরা বার বার আপনাকে কাজের অফার করবে। তখন আপনাকে কাজ পওয়ার বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।

জনপ্রিয় ৫ টি  ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস

অনলাইনে হাজার হাজার মার্কেটপ্লেসের মধ্যে বর্তমানে নিচের ৫ টি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস সবচাইতে জনপ্রিয়। আপনি এই মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট করে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করতে পারেন।

১। ফাইভার - Fiverr.Com

বর্তমানে বিশ্বের সবচাইতে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস হচ্ছে ফাইভার। বাংলাদেশের অধিকাংশ ফ্রিল্যান্সাররা ফাইভারে কাজ করে। ফাইভারে ৫ ডলার থেকে শুরু করে অনেক উচ্চ মূল্যের প্রজেক্ট পাওয়া যায়। ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, ভয়েস রেকর্ড, আর্টিকেল লেখা, ডিজিটাল মার্কেটিং, সোশ্যাল মার্কেটিং সহ আরো বিভিন্ন ধরনের কাজ ফাইভারে পাওয়া যায়।
ফাইভার - Fiverr.Com

২। আপওয়ার্ক - Upwork.Com

আপওয়ার্ক বিশ্বের আরেকটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। এটি প্রথমে ওডেস্ক নামে কার্যক্রম শুরু করে। ২০১৫ সালে সাইটটি ওডেস্ক নাম পরিবর্তন করে আরেকটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম ‘ইল্যান্স’ আপওয়ার্কের সাথে একীভূত হয়ে আপওয়ার্ক নাম দেয়। আপওয়ার্কে ফিক্সড এবং ঘন্টা ভিত্তিক (আওয়ারলি) রেটে কাজ পাওয়া যায়। এখান থেকে অর্থ তুলতে পেপাল, পেওনিয়ার এবং ব্যাংক ট্র্যান্সফার পদ্ধতি উপলভ্য আছে।
আপওয়ার্ক - Upwork.Com

৩। ফ্রিল্যান্সার ডটকম - Freelancer.Com

ফ্রিল্যান্সার ডটকম হচ্ছে একদম প্রথম সারিতে থাকা একটি অনলাইন ভিত্তিক জব মার্কেটপ্লেস, যেখানে ফিক্সড প্রাইস এবং আওয়ারলি রেটের প্রজেক্ট পাওয়া যায়। এখানেও প্রচুর পরিমানে অনলাইন জব পাওয়া যায়। ফাইভার ও আপওয়ার্ক এর তুলনায় এখানে ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা কিছু কম। পেপাল, স্ক্রিল, পেওনিয়ার এবং ব্যাংক ট্র্যান্সফার এর মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সার ডটকম থেকে আয়ের টাকা উত্তোলন করা যায়।
ফ্রিল্যান্সার ডটকম - Freelancer.Com

৪। গুরু - Guru.Com

সারা বিশ্বের প্রায় ৩০ লক্ষ এর অধিক লোক এই মার্কেটপ্লেসে কাজ করে থাকে। এখানে ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, আর্টিকেল রাইটিং সহ আরো বিভিন্ন ধরনের কাজের অফার পাওয়া যায়। এই সাইটে সাইটে ফিক্সড প্রাইস এবং আওয়ারলি সহ উভয় প্রকারের কাজ পাওয়া যায়। এখান থেকে টাকা উত্তোলনের জন্য পেপাল, পেওনিয়ার ও ব্যাংক ট্র্যান্সফার পদ্ধতি ব্যবহার করার সুযোগ আছে।
গুরু - Guru.Com

৫। টপটল - Toptal.Com

টপটল হচ্ছে আরেকটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সাইট। এই মার্কেটপ্লেসটি সম্প্রতি বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করে নিয়েছে। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ২০ লক্ষ এর অধিক লোক এই মার্কেটপ্লেসে কাজ করছে। এখানেও প্রচুর পরিমানে অনলাইন জব পাওয়া যায়। অন্যান্য মার্কেটপ্লেসের মত এখানে প্রায় সকল ধরনের ডিমান্ডএবল কাজগুলো পাওয়া যায়। এখান থেকে পেপাল, পেওনিয়ার ও ব্যাংক ট্র্যান্সফার করে আয়ের টাকা উত্তোলন করা যায়।
টপটল - Toptal.Com

ফ্রিল্যান্সিং সাইট গুলোতে কি করতে হবে?

উপরের যেকোন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ করার জন্য প্রথমে আপনার একটি প্রোফাইল বা একাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে। তারপর আপনার প্রোফাইলটি ভালোভাবে সাজিয়ে নিতে হবে। আপনি কি কি কাজ জানেন, কি কি কাজে আপনার দক্ষতা ও অভীজ্ঞতা রয়েছে, আপনার সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল, আপনার এডুডেকশন কোয়ালিফিকেশন, আপনার ওয়েবসাইটের এড্রেস, আপনার ব্যক্তিগত পরিচিতি ও ছবি দিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রোফাইল তৈরি করতে হবে।

তাছাড়া আপনি কিভাবে ক্লায়েন্টদের কাজ করেন, কেউ আপনাকে কাজ দেওয়ার পর সেই কাজ কত দ্রুত সম্পাদন করেন এবং ইতোপূর্বে কোন কাজ করে থাকলে সেই কাজের রেফারেন্স ছোট করে লিখে দিতে পারেন। বিশেষকরে আপনি পূর্বে কোন প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির কোনো ওয়েবসাইট তৈরি করে থাকলে সেই ওয়েবসাইটের লিংক শেয়ার করে দিলে আপনার জন্য আরো সুবিধা হবে।

আপনার কাজের অভীজ্ঞতা ও কাজের ধরনের বিষয়ের সমন্বয়ে যত ভালোভাবে পোর্টফোলিও তৈরি করতে পারবেন, একজন ক্লায়েন্ট তত সহজে আপনাকে কাজ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করবে। তবে মনে রাখবেন, কাজ পাওয়ার আশায় কোন ধরনের মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া যাবে না। চালাকি করে কখনো আপনি ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল হতে পারবেন না।

ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব? ফ্রিল্যান্সিং কোর্স কোথায় করব?

ফ্রিল্যান্সিং কোর্স ও ফ্রিল্যান্সিং শেখানো নিয়ে আমাদের দেশে অনেক ধরনের বানিজ্য চলছে। ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে অধিকাংশ লোকের ভুল ধারনা থাকার কারনে কিছু কোচিং সেন্টার ফ্রিল্যান্সিং কোর্স চালু করে সাধারণ মানুষকে নাম মাত্র ফ্রিল্যান্সিং এর শিক্ষা দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

প্রকৃত পক্ষে ফ্রিল্যান্সিং কোর্স নামে কিছু নেই। ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কোন ধরনের কোর্স করা প্রয়োজন হয় না। ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কোন একটি বিষয়ে আপনার দক্ষতা প্রয়োজন হয়। কোন একটি বিষয়ে আপনার দক্ষতা থাকলে আপনি নিজে নিজে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট খোলে নিজে নিজে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন।

কিভাবে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট করতে হয়, কিভাবে পোর্টফোলিও সাজাতে হয়, কিভাবে ক্লায়েন্টের সাথে কমিউনিকেশন করতে হয় ও কিভাবে জব এপ্লাই করতে হয়, এগুলো বিষয় শেখার জন্য আপনাকে কোন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করা প্রয়োজন হবে না। এই সমস্ত বিষয় আপনি অনলাইনে বিভিন্ন ব্লগ ও ইউটিউব থেকে শিখে নিতে পারবেন।

মূল কথা হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়ার জন্য বা ফ্রিল্যান্সিংয়ে কাজ করার জন্য আপনার যেকোন কাজের দক্ষতা প্রয়োজন হবে। এ ক্ষেত্রে আপনার যদি কোন বিষয়ে দক্ষতা না থাকে, তাহলে আপনি কোন প্রতিষ্ঠান হতে সেই বিষয়ে কোর্স করে দক্ষতা অর্জন করে নিতে পারেন।

যেমন-ভিডিও এডিটিং, ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন ও কনটেন্ট রাইটিং ইত্যাদি বিষয়ে আপনার দক্ষতা থাকলে কোন ধরনের কোর্স ছাড়াই নিজে নিজে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয় করতে পারবেন। তবে আপনি যদি এই সমস্ত কাজ বা অন্য কোন কাজ না পারেন, তাহলে ফ্রিল্যান্স এর কাজ করার জন্য একটি কাজ শিখে নিতে হবে।

কাজেই আপনি বুঝতে পারছেন যে, ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয় করার জন্য ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করার প্রয়োজন নেই। ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য প্রথমে যেকোন একটি কাজ শিখে নিতে হবে।

ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কি কি শিখবো?

আপনার যদি কোন বিষয়ে দক্ষতা থাকে, তাহলে সে বিষয়ে আপনি কোন প্রতিষ্ঠান থেকে কোর্স করে আরো বেশি দক্ষতা বৃদ্ধি করে নিতে পারেন। তবে আপনার কোন বিষয়ে কাজের দক্ষতা না থাকলে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য একটি বা দুটি লাভজনক টপিক বাছাই করে সে বিষয়ে কোন প্রতিষ্ঠানে কোর্স করে নিজেকে এক্সপার্ট করে তুলতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব? ফ্রিল্যান্সিং কোর্স কোথায় করব?
উপরের চিত্রটি ফাইভার মার্কেটপ্লেস থেকে নেওয়া। ফাইভার মার্কেটপ্লেসে গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, আর্টিকেল রাইটিং, ভিডিও এডিটিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ও লাইফস্টাইল সহ বিভিন্ন বিষয়ে ডিমান্ড রয়েছে। তাছাড়া এই ধরনের প্রত্যেক কাজের ডিমান্ড সব ধরনের ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে রয়েছে।

ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য নিচের যেকোন একটি বিষয়ে কোর্স করতে পারেন-
  • গ্রাফিক্স ডিজাইনঃ বিভিন্ন ধরনের ব্যানার তৈরি, লোগো বানানো সহ আরো বিভিন্ন ধরনের গ্রাফিক্স ডিজাইনের প্রয়োজন প্রায় সকল কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানের হয়ে থাকে। কাজেই যেকোন প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রাফিক্স ডিজাইন বিষয়ে একটি কোর্স করে নিতে পারেন।
  • ডিজিটাল মার্কেটিংঃ ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে ডিজিটাল মিডিয়া ও ডিজিটাল প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে অনলাইন/ইন্টারনেট এর মাধ্যমে পণ্য বা সেবার বিক্রয় কাজ পরিচালনা করা। আর আমরা মার্কেটিং করার জন্য যতো ধরনের বা পদ্ধতি ব্যবহার করি এগুলোই হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এ ধরনের কাজের প্রচুর ডিমান্ড আছে।
  • আর্টিকেল রাইটিংঃ আপনার যদি লেখালেখি করার অভ্যাস থাকে বা ব্লগ লেখার পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে আর্টিকেল লেখার বিষয়ে একটি কোর্স করে আপনার লেখার অভিজ্ঞতাকে আরো বৃদ্ধি করে নিতে পারেন। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে সবসময় ভালোমানের কনটেন্ট রাইটার খোজা হয়ে থাকে।
  • ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্টঃ আজকাল প্রত্যেকটি কোম্পানি ও প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটের প্রয়োজন হয়। কাজেই এ বিষয়ে দক্ষ হয়ে উঠতে পারলে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে আপনার কাজের কোনো অভাব হবে না।
  • ভিডিও এডিটিং এন্ড এ্যানিমেশনঃ অনলাইন ও অফলাইন উভয় মার্কেটে ভিডিও এডিটিং ও এ্যানিমেশনের অনেক দাম রয়েছে। এই কাজটি শিখলে ফ্রিল্যান্সিং করে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য ইংরেজি জানা কি বাধ্যতামূলক?

আসলে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয় করার জন্য সব ধরনের ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে ক্লায়েন্ট সাথে ইংরেজীতে কমিউনিকেশন করতে হয়। কারণ ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটের অধিকাংশ ক্লায়েন্টরা বাংলাদেশের বাহিরের হয়ে থাকে। কাজেই তারা যেহেতু বাংলা জানে না সেহেতু তাদের সাথে কমিউনিকেশন বা চ্যাট করার জন্য ইংরেজি ছাড়া বিকল্প কোন উপায় নেই।

তবে কিছু কিছু টপিক রয়েছে যেগুলো নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনাকে পরিপূর্ণ ইংরেজি না জানলেও চলবে। শুধুমাত্র আপনার নির্ধারিত বিষয়ে মোটামুটি ইংরেজি জানা থাকলে আপনি বায়ারদের সাথে কমিউনিকেশন করতে পারবেন।

যেমন- গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন ও ভিডিও এডিটিং এন্ড এনিমেশন বিষয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে ভালোভাবে ইংরেজি জানা না থাকলেও চলবে। শুধুমাত্র আপনার এই টপিকের উপরে মোটামুটি ইংরেজি জানা থাকলে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং ও আর্টিকেল রাইটিং নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে পরিপূর্ণ ইংরেজি জানা না থাকলে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে কাজ করতে পারবেন না।

ফ্রিল্যান্সিং FAQs

  1. প্রশ্নঃ ফ্রিল্যান্সিং কি? ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলে?
    উত্তরঃ ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্লায়েন্টের সাথে কাজের চুক্তি করে সেই কাজ শেষ করে অনলাইনের মাধ্যমে ক্লায়েন্টের কাছে পৌছানোর মাধ্যমে আয় করাকে সংক্ষেপে ফ্রিল্যান্সিং বলা হয়। অথবা এভাবেও বলতে পারেন, নিজের মেধা ও অভীজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে অনলাইনে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তির মাধ্যমে অনলাইনে কাজ করে টাকা আয় করাকে ফ্রিল্যান্সিং বলা হয়।
  2. প্রশ্নঃ ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন?
    উত্তরঃ অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করার জন্য আপনার একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ও ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে। তারপর ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি প্রয়োজন হবে সেটি হচ্ছে, আপনার কোন একটি বিষয়ে কাজ করার দক্ষতা (Skill) থাকতে হবে। গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, আর্টিকেল রাইটিং, ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট এবং ভিডিও এডিটিং এন্ড এ্যানিমেশন সহ আরো বিভিন্ন বিষয়ে কাজের অভীজ্ঞতা থাকলে ফ্রিল্যান্সিং করে সহজে টাকা আয় করা যায়।
  3. প্রশ্নঃ ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কি?
    উত্তরঃ ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে একটি ডিজিটাল মার্কেট প্লেস। যে মার্কেটে আপনি অন্যের কাজ করে কাজের বিনিময়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অথবা আপনি চাইলে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেসের মাধ্যমে অন্যকে দিয়ে কম খরছে নিজের কাজ করিয়ে নিতে পারবেন। মূলত ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে এক ধরনের মুক্ত পেশা, যেখানে নিজের পছন্দমত স্বাধীনভাবে কাজ করা ও করানো যায়।
  4. প্রশ্নঃ ফ্রিল্যান্সিং কি হালাল?
    উত্তরঃ ফ্রিল্যান্সিং অবশ্যই হালাল। কারণ আপনি কাজের বিনিময়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয় করছেন। ফ্রিল্যান্সিং এর সাথে হারাম বা অবৈধ কাজের কোন সম্পর্ক নেই।
  5. প্রশ্নঃ ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো?
    উত্তরঃ প্রকৃত পক্ষে ফ্রিল্যান্সিং কোর্স নামে কিছু নেই। ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কোন ধরনের কোর্স করা প্রয়োজন হয় না। ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কোন একটি বিষয়ে আপনার দক্ষতা প্রয়োজন হয়। কোন একটি বিষয়ে আপনার দক্ষতা থাকলে আপনি নিজে নিজে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট খোলে নিজে নিজে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন।
  6. প্রশ্নঃ ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা কিভাবে তুলতে হয়?
    উত্তরঃ কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা তুলবেন সেটা আপনার বায়ারের উপর ডিপেন্ড করবে। তবে অধিকাংশ বায়াররা ফ্রিল্যান্সিং এর কাজের টাকা PayPal এর মাধ্যমে পরিশোধ করে থাকে। এ ক্ষেত্রে নিজের একটি PayPal একাউন্ট থাকলে টাকা হাতে পাওয়া সহজ হয়। তাছাড়া ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমেও ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা তুলা যায়।

শেষ কথা

ফ্রিল্যান্সিং কি ও কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়তে হয় এবং কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখে ঘরে বসে অনলাইন থেকে আয় করা যায়, আশাকরি এ বিষয়ে আপনার পুরোপুরি ধারনা হয়েগেছে। এ বিষয়ে কেউ ভুলভাবে ব্যাখ্যা করলে আপনি তাকে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টি এখন থেকে বুঝিয়ে বলতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে আমাদের লেখার সাথে আপনার কোন দ্বিমত থাকলে বা কোন ধরনের প্রশ্ন থাকলে, আপনি আমাদের ব্লগের কমেন্ট সেকশনে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন। তাছাড়া আমাদের পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার মতামত জানাতে ভুলবেন না। সেই সাথে পোস্টটি ভালো লাগলে অবশ্যই ফেসবুকে শেয়ার করে নিবেন।


How was the article?

Hey ! My name is Samir, a professional Web Designer, Graphic Designer, UI / UX Designer as well as Content Creator from Feni,Dagonbhuiyan,Bangladesh. I love to Code and create interesting things whil…

Post a Comment

Cookies Consent

This website uses cookies to ensure you get the best experience on our website.

Cookies Policy

We employ the use of cookies. By accessing Royal UI, you agreed to use cookies in agreement with the Royal UI's Privacy Policy.

Most interactive websites use cookies to let us retrieve the user’s details for each visit. Cookies are used by our website to enable the functionality of certain areas to make it easier for people visiting our website. Some of our affiliate/advertising partners may also use cookies.